মোঃ দুলাল মিয়া, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাবেক ও বর্তমান ঢালুয়া ইউপির সদস্যের সহযোগিতায় বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা চৌকুড়ী গ্রামে, জানাগেছে, ওই গ্রামের মোঃ হাছানের মেয়ে তাছলিমা আক্তার চৌকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবারে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে সুজন তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে সাবেক ইউপির সদস্য আব্দুল হকের সহযোগিতায় তাকে শুক্রবারে উদ্ধার করে তার বাড়িতে রাখা হয়।
এবং স্থানীয় বর্তমান মেম্বার ছেরাজুল হক ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হকের সহযোগিতা ও অংশগ্রহনে শালিশ বৈঠক হয়। এতে সদস্যদ্বয় ও গ্রামবাসী তাদের উভয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে তাদের পরিবার
সুজনের পিতা রুহুল আমিন জানিয়েছে, তারা একে অপরকে ভালোবাসে তাই তাদের বিয়ে দিয়েছি। তাবে প্রসঙ্গক্রমে তার ছেলের বয়স ১৮ বছর দাবি করে সে। অপরদিকে তাছলিমার পিতা হাছান জানিয়েছে তার মেয়ের বয়স ১২ বছর। কিন্তু ছেলে মেয়ের ভালোবাসার কারনে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঢালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান নাজমুল হাছান ভূইয়া (বাছির) জানান, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে আমরা সচেষ্ট। তবে এ বিয়ের জন্য আমি কোন জন্ম সনদ দেইনি। এবং এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দুই ইউপি মেম্বার সহযোগিতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এ ব্যাপারে বর্তমান মেম্বার ছেরাজুল হক ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান। তবে তারা ছেলে ও মেয়ের পিতার সাথে সাক্ষাত করবে জানায়।