Tuesday, 2 April 2013

রাজশাহীতে শিবিরের মেস থেকে বোমা-অস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহী : রাজশাহী নগরীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি মেস থেকে বিপুল পরিমাণ হাতবোমা ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে পুলিশের ওপর শিবিরের হামলার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার মধ্যরাতে সপুরা এলাকার ওই মেসে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই মেস থেকে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে বোয়ালিয়া থানার ওসি জিয়াউর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।  এর মধ্যে একজন গত সোমবার পুলিশকে পেটানোয় জড়িত ছিলেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে গত সোমবার এক পুলিশ সদস্যের মাথা থেঁতলে দিয়ে তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় শিবিরকর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর রাজশাহী অঞ্চলকে মৌলবাদীমুক্ত করার ঘোষণা দেন।  বোয়ালিয়ার ওসি জিয়াউর বলেন, রাত ১২টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে ওই মেসে অভিযান চালায়। “ওই মেসের একটি কক্ষ থেকে পাঁচটি শক্তিশালী হাতবোমা, ১৯টি চাইনিজ কুড়াল ছাড়াও লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।” এছাড়া ব্যানার, পোস্টার, বই ও ইসলামী ব্যাংকের তিনটি চেক বই উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই মেস থেকে শিবিরের এক কর্মীকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যে ওই মেসের কাছেই শিবিরের সাবেক নেতা শাকিল আহমেদ এবং জামায়াতকর্মী মোশারফ হোসেনের বাড়ি থেকে বাকি ২৭ জনকে আটক করা হয় বলে ওসি জানান। তিনি বলেন, “শাকিলের নেতৃত্বে সেখানে পরিকল্পনা করে নগরীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হত।” অভিযানের সময় শাকিলকে পায়নি পুলিশ।তিনি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি। তবে দুই বছর তিনি বিএনপিতে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা জিয়া জানান। এদিকে বুধবার হরতালে পুলিশের সতর্ক অবস্থানে সকালে রাজশাহী নগরীতে রাজপথে দেখা যায়নি শিবিরকর্মীদের।   সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হুসেনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এই হরতাল ডেকেছে শিবির।  সকালে নগরীর হাদির মোড় ও খড়খড়ি বাইপাস মোড়ে শিবিরকর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিংয়ের চেষ্টা চালায়। তবে পুলিশ গেলে তারা পালিয়ে যায়। নগরীর আর কোথাও কোনো পিকেটিং দেখা যায়নি। মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম মনির-উজ-জামান সাংবাদিকদের বলেন, শিবিরের যে কোনো নাশকতা ঠেকতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব।