হারুনর রশিদ (কক্সবাজার) : পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বিল্ডিং কোড না মেনে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। বিল্ডিং কোড মূলত ইমারত নির্মাণে প্রকৌশলগত বিষয়। কোন বিল্ডিংকে ঝুঁকি সহনীয় করে গড়ে তুলতে এই কোড মেনে চলতে হয়। বাংলাদেশে নির্মাণ শিল্পে কোন জবাবদিহিতা নেই, যদিও দেশে ইমারত শিল্পের বিধিমালা ১৯৯৩ সালে তৈরী হয়েছিল, যা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের জন্য ২০০৬ সালে আইনগত ভিত্তি পায়। কিন্তু বিল্ডিং কোড প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজও কোন প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলা হয়নি।
কক্সবাজার পর্যটন নগরী হওয়ায় বাড়ছে জনবসতির চাপ। পর্যটনকে আকর্ষনীয় করতে শহরে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে আবাসন শিল্প। আবেদন জমা দিয়েই সম্পন্ন করা হচ্ছে ভবনের নির্মাণ কাজ। শহরে ইমারত নির্মাণে বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ সীমিত। কিন্তু কোডের বিধান গুলো অনুসরণ না করার ফলে ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিল্ডিং কোড যথাযত অনুসরণ না করায় ২০০৪ সালে শাখাঁরী বাজার, ২০০৫ সালে স্পেকট্রাম ভবন, ২০০৬ সালে ফিনিক্স ভবন, সর্বশেষ কয়েকদিন পুর্বে সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসে ঘটে মহা মানবিক বিপর্যয়। বিল্ডিং কোড প্রয়োগের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প আয়োজিত একটি কর্মশালার সুপারিশ থেকে জানা যায়, বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে দেশব্যাপি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন ও বিল্ডিং কোড প্রয়োগ তদারকীর জন্য একটি নীতিনির্ধারনী কতৃপক্ষ প্রতিষ্টার ব্যাপারে ঐক্যমত্য প্রকাশ করা হয়। সেই মোতাবেক কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ বিল্ডিং কোড প্রয়োগ ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত যেসব নীতিমালা অনুসরণ করে নীতিমালা, কর্মপরিকল্পনা ও বিধিবিধান বাস্তবায়নে দায়িত্ব নেবেন। বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে অনুমোদিত বিশেষ প্রতিষ্টানের সম্পৃক্ততা সনদ প্রদান, ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিকল্পিত নগরায়ন, কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধি, কোড প্রয়োগে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান নিশ্চিত করা ও বিল্ডিং কোড আইনে পরিণত করা এবং কোড অমান্যকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কতৃপক্ষের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরে বহুতল ভবন নির্মাণে কতৃপক্ষের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী কোন নিয়ম মানা হয়না। যে যার ইচ্ছামত ভবন নির্মাণ করে আসছে কিছু লোক। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট, পরিবেশ ছাড় পত্র, ভবনের ভিত্তি ও কাঠামোগত ডিজাইন পরীক্ষা না করে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানের অনুমোদন না নিয়ে অনেকটা গায়ের জোরে শহরে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। নির্মাণাধিন এমন একটি ১৫ তলা ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে শহরের কৃষি অফিস সড়কের আপন টাওয়ারের পাশে এআরসি টাওয়ার। যে ভবনের মালিক আব্দু রহিম চৌধুরী। ৫ গন্ডা জমির উপর নির্মিত হচ্ছে এ ভবন। ইতিমধ্যে এভবনের নির্মান কাজ ১৩ তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ভবনের মালিক আব্দু রহিম চৌধুরী জানায়, ভবন নির্মাণে যেসব নিয়ম কানুন রয়েছে তা তিনি সব মেনেই এ ভবন নির্মান করেছেন। তৎমধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের প্লান পাস কপির ফরোয়াডিং কপি, পৌরসভার অনুমোদন, ফায়ার সার্ভিস ছাড়পত্র, এসটিপি নকশা ও কার্যকারিতা প্রতিবেদন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিবরণ, লোকেশন ম্যাপ, ইসিএ এলাকা সংক্রান্ত জেলা প্রশাসনের অনাপত্তি, পুলিশ বিভাগের অনাপত্তি, পরিবেশগত ছাড় পত্র, সিভিল এভিয়েশন ছাড়পত্রসহ ইত্যাদি ডকুমেন্টস থাকার দাবী করলেও তিনি কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ঠিক তেমনিভাবে শহরজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব্ বহুতল ভবন। নন্যুতম বিচার বিবেচনা না করে নীতিমালা পাশ কাটিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ভবন। কতৃপক্ষ এব্যাপারে রয়েছে সম্পুন্ন উদাসীন। কতৃপক্ষের এসব ব্যর্থতার ভার এসে পড়ছে উদ্যেক্তোদের ঘাড়ে। একটি সূত্র জানায়, সরওয়ার কামাল ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালীন সময়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেকডেট দিয়ে এসব বহুতল ভবনের অনুমোদন দেয় বলে জানা যায়। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে নির্মিত সিংহভাগ বহুতল ভবনের কোন ধরনের পরিবেশ ছাড় পত্র নেই। এআরসি ভবন তো দুরের কথা সী গাল হোটেলেরও কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই । উদ্যেক্তারা পরিবেশ কতৃপক্ষকে সমস্যা হিসেবে দেখে থাকে। একটি আবাসিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবনের চার পাশে খোলা মেলা জায়গা থাকতে হবে। সড়ক হতে হবে ৩০ ফুট প্রস্তের, বর্জ্য অপসারণে থাকতে হবে স্যুয়ারেজ সিষ্টেম। এছাড়াও গাড়ী রাখার যথেষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। শহরের পৌর কনসেপটা খুবই সেকেলে, তাই শহরে গড়ে উঠা প্রায় সব ভবনই ঝুঁকিমুক্ত নয়। শহরে কেউ বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণে আগ্রহী নয়। একটি বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্র নিলেই প্রাথমিকভাবে ভবন নির্মানের অনুমোদন দেওয়া হয়। উদ্যেক্তারা বিল্ডিং কোড মেনে অবস্থানগত ছাড়পত্র নিয়ে ভবন তৈরী করলে ত্রুটিগুলো থাকতোনা। পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে এসব ভবনের সব অনিয়ম দেখা সম্ভব হয়না বলে জানান তিনি। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দীন ভুঁইয়া জানান, ভবন ধসে পড়া থেকে উদ্ধার কাজে যেসব যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার সরঞ্জাম প্রয়োজন তা বাংলাদেশে পর্যাপ্ত নেই। সাভারে ধসে পড়া ভবন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধার কর্মীদের। ভবন ধসে পড়ার কাজে আধুনিক কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও তাদের কাছে নেই রেমজ্যাক, পাইপ কুইজার, হাইড্রোলিক মই, বেকার ভ্যান, চেইন করাত, রেসি প্রোকেটিং করাত, জাম্পিং এয়ার প্যাক ও স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ ইত্যাদি। তবে অগ্নি নির্বাপনের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এআরসি ভবন নির্মাণে কোন ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেই বলে জানান তিনি।
ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শহরের বিল্ডিং প্লানার্সের পরিচালক ইঞ্জিরিয়ার এম বদিউল আলম জানান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ১ সিমেন্ট, দেড় বালি, ৩ কংকর রেসিও মেনে চললে ঢালাই শক্ত হয়।পানি, বালি, সিমেন্ট, কংকর ও রড অনুমোদিত প্রতিষ্টান তথা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ল্যবরেটরীতে পরীক্ষা করে সেটব্যাক রুল মেনে চলতে হবে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবনের নির্মাণের ক্ষেত্রে কৌশলগত বিধিবিধান মেনে কাজ করতে হবে। ৩০ ফুট রাস্তা রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন ধসে পড়ার ৩টি কারণ রয়েছে, তৎমধ্যে যথাযথভাবে ডিজাইন না হলে বা ত্রুটি থাকলে, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান না থাকলে, কাজের গুণগত মান যথাযথ না হল্।ে এসবের যে কোন একটির কারণে ভবন ধসে পড়তে পারে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবুল কালাম জানায়, পুর্বে যেসব ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে , সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে বর্তমানে ভবন নির্মাণ অনুমোদনের দায়িত্ব কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের বলে জানা তিনি। জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপ্ক্ষ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যাচাই বাছাই শেষে ত্রুটিযুক্ত ভবন পাওয়া গেলে সেসব ভবন মালিকদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার পর্যটন নগরী হওয়ায় বাড়ছে জনবসতির চাপ। পর্যটনকে আকর্ষনীয় করতে শহরে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে আবাসন শিল্প। আবেদন জমা দিয়েই সম্পন্ন করা হচ্ছে ভবনের নির্মাণ কাজ। শহরে ইমারত নির্মাণে বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ সীমিত। কিন্তু কোডের বিধান গুলো অনুসরণ না করার ফলে ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিল্ডিং কোড যথাযত অনুসরণ না করায় ২০০৪ সালে শাখাঁরী বাজার, ২০০৫ সালে স্পেকট্রাম ভবন, ২০০৬ সালে ফিনিক্স ভবন, সর্বশেষ কয়েকদিন পুর্বে সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসে ঘটে মহা মানবিক বিপর্যয়। বিল্ডিং কোড প্রয়োগের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প আয়োজিত একটি কর্মশালার সুপারিশ থেকে জানা যায়, বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে দেশব্যাপি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন ও বিল্ডিং কোড প্রয়োগ তদারকীর জন্য একটি নীতিনির্ধারনী কতৃপক্ষ প্রতিষ্টার ব্যাপারে ঐক্যমত্য প্রকাশ করা হয়। সেই মোতাবেক কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ বিল্ডিং কোড প্রয়োগ ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত যেসব নীতিমালা অনুসরণ করে নীতিমালা, কর্মপরিকল্পনা ও বিধিবিধান বাস্তবায়নে দায়িত্ব নেবেন। বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে অনুমোদিত বিশেষ প্রতিষ্টানের সম্পৃক্ততা সনদ প্রদান, ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিকল্পিত নগরায়ন, কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধি, কোড প্রয়োগে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান নিশ্চিত করা ও বিল্ডিং কোড আইনে পরিণত করা এবং কোড অমান্যকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কতৃপক্ষের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরে বহুতল ভবন নির্মাণে কতৃপক্ষের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী কোন নিয়ম মানা হয়না। যে যার ইচ্ছামত ভবন নির্মাণ করে আসছে কিছু লোক। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট, পরিবেশ ছাড় পত্র, ভবনের ভিত্তি ও কাঠামোগত ডিজাইন পরীক্ষা না করে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানের অনুমোদন না নিয়ে অনেকটা গায়ের জোরে শহরে নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন। নির্মাণাধিন এমন একটি ১৫ তলা ভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে শহরের কৃষি অফিস সড়কের আপন টাওয়ারের পাশে এআরসি টাওয়ার। যে ভবনের মালিক আব্দু রহিম চৌধুরী। ৫ গন্ডা জমির উপর নির্মিত হচ্ছে এ ভবন। ইতিমধ্যে এভবনের নির্মান কাজ ১৩ তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ভবনের মালিক আব্দু রহিম চৌধুরী জানায়, ভবন নির্মাণে যেসব নিয়ম কানুন রয়েছে তা তিনি সব মেনেই এ ভবন নির্মান করেছেন। তৎমধ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের প্লান পাস কপির ফরোয়াডিং কপি, পৌরসভার অনুমোদন, ফায়ার সার্ভিস ছাড়পত্র, এসটিপি নকশা ও কার্যকারিতা প্রতিবেদন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিবরণ, লোকেশন ম্যাপ, ইসিএ এলাকা সংক্রান্ত জেলা প্রশাসনের অনাপত্তি, পুলিশ বিভাগের অনাপত্তি, পরিবেশগত ছাড় পত্র, সিভিল এভিয়েশন ছাড়পত্রসহ ইত্যাদি ডকুমেন্টস থাকার দাবী করলেও তিনি কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ঠিক তেমনিভাবে শহরজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব্ বহুতল ভবন। নন্যুতম বিচার বিবেচনা না করে নীতিমালা পাশ কাটিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ভবন। কতৃপক্ষ এব্যাপারে রয়েছে সম্পুন্ন উদাসীন। কতৃপক্ষের এসব ব্যর্থতার ভার এসে পড়ছে উদ্যেক্তোদের ঘাড়ে। একটি সূত্র জানায়, সরওয়ার কামাল ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকাকালীন সময়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেকডেট দিয়ে এসব বহুতল ভবনের অনুমোদন দেয় বলে জানা যায়। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে নির্মিত সিংহভাগ বহুতল ভবনের কোন ধরনের পরিবেশ ছাড় পত্র নেই। এআরসি ভবন তো দুরের কথা সী গাল হোটেলেরও কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই । উদ্যেক্তারা পরিবেশ কতৃপক্ষকে সমস্যা হিসেবে দেখে থাকে। একটি আবাসিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবনের চার পাশে খোলা মেলা জায়গা থাকতে হবে। সড়ক হতে হবে ৩০ ফুট প্রস্তের, বর্জ্য অপসারণে থাকতে হবে স্যুয়ারেজ সিষ্টেম। এছাড়াও গাড়ী রাখার যথেষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। শহরের পৌর কনসেপটা খুবই সেকেলে, তাই শহরে গড়ে উঠা প্রায় সব ভবনই ঝুঁকিমুক্ত নয়। শহরে কেউ বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণে আগ্রহী নয়। একটি বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ছাড়পত্র নিতে হয়। এই ছাড়পত্র নিলেই প্রাথমিকভাবে ভবন নির্মানের অনুমোদন দেওয়া হয়। উদ্যেক্তারা বিল্ডিং কোড মেনে অবস্থানগত ছাড়পত্র নিয়ে ভবন তৈরী করলে ত্রুটিগুলো থাকতোনা। পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে এসব ভবনের সব অনিয়ম দেখা সম্ভব হয়না বলে জানান তিনি। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দীন ভুঁইয়া জানান, ভবন ধসে পড়া থেকে উদ্ধার কাজে যেসব যন্ত্রপাতি ও উদ্ধার সরঞ্জাম প্রয়োজন তা বাংলাদেশে পর্যাপ্ত নেই। সাভারে ধসে পড়া ভবন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধার কর্মীদের। ভবন ধসে পড়ার কাজে আধুনিক কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও তাদের কাছে নেই রেমজ্যাক, পাইপ কুইজার, হাইড্রোলিক মই, বেকার ভ্যান, চেইন করাত, রেসি প্রোকেটিং করাত, জাম্পিং এয়ার প্যাক ও স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ ইত্যাদি। তবে অগ্নি নির্বাপনের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এআরসি ভবন নির্মাণে কোন ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নেই বলে জানান তিনি।
ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শহরের বিল্ডিং প্লানার্সের পরিচালক ইঞ্জিরিয়ার এম বদিউল আলম জানান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ১ সিমেন্ট, দেড় বালি, ৩ কংকর রেসিও মেনে চললে ঢালাই শক্ত হয়।পানি, বালি, সিমেন্ট, কংকর ও রড অনুমোদিত প্রতিষ্টান তথা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ল্যবরেটরীতে পরীক্ষা করে সেটব্যাক রুল মেনে চলতে হবে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবনের নির্মাণের ক্ষেত্রে কৌশলগত বিধিবিধান মেনে কাজ করতে হবে। ৩০ ফুট রাস্তা রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবন ধসে পড়ার ৩টি কারণ রয়েছে, তৎমধ্যে যথাযথভাবে ডিজাইন না হলে বা ত্রুটি থাকলে, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান না থাকলে, কাজের গুণগত মান যথাযথ না হল্।ে এসবের যে কোন একটির কারণে ভবন ধসে পড়তে পারে বলে জানান তিনি। কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবুল কালাম জানায়, পুর্বে যেসব ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে , সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে বর্তমানে ভবন নির্মাণ অনুমোদনের দায়িত্ব কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের বলে জানা তিনি। জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপ্ক্ষ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যাচাই বাছাই শেষে ত্রুটিযুক্ত ভবন পাওয়া গেলে সেসব ভবন মালিকদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।