ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মৌসুমের প্রথম আকস্মিক ঘূর্ণিঘড়ের আঘাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকরা। আহতদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা গুরুতর বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি ওই দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ওপর আঘাত হানে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সদরের সুলতানপুর ইউনিয়নের মাছিহাটা ও বিজয়নগরের উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের পত্তন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়টি। এতে শত শত গাছ উপড়ে যায় ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহতরা হলেন সুলতানপুর পাতিরহাতা গ্রামের জরি আক্তার (২৫), পত্তন গ্রামের লাভলী আক্তার (২৫), অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি ও এক শিশু। নিহতদের সবাই বাড়ির দেয়াল চাপায় ও গাছ ভেঙে মৃত্যু হয়। আহতদের সবাইকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সাহায্যার্থে ইতোমধ্যে রেড ক্রিসেন্টের একটি দল হাসপাতালে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহতদের স্বজনদের চিৎকার ও জরুরি বিভাগে রোগীর আধিক্যের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন। অসংখ্য রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালের মেঝে পর্যন্ত রক্তে ভেসে গেছে বলে তিনি জানান। এদিকে, মৌসুমের আকস্মিক এ ঝড়ে কয়েকটি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গ্রামগুলোর বাড়িঘরের পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।