যশোর: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে আনিসুর রহমান (৩২) নামে এক জামায়াত কর্মী নিহত ও ১০ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।আনিসুর রহমান জয়পুর গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-উপপরিদর্শক (এসআই) শঙ্কর চন্দ্র, কনস্টেবল মনিরুল, মোশাররফ, তন্ময়সহ ১০ পুলিশ সদস্য। আহত জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হলেন- জয়পুর গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন(২৮), মতিয়ার রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন(২৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল (৩৫), ইউনুসের ছেলে আলী (৪৫), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সবুজ (২৮), ইবাদত হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৫৫), নূর ইসলামের স্ত্রী জোহরা বেগম(৪২), কাদের মোল্যার ছেলে আমজাদ (৪২), মশিয়ার রহমানের ছেলে এনামুল (১৮) ও ফরহাদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২) । আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) সৈয়দ মোস্তফা কামাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জয়পুর গ্রামে আসামি ধরতে গেলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ প্রায় ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে একজন নিহত ও আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। মণিরামপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শুক্রবার ভোরে মণিরামপুর থানা পুলিশ ও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ জয়পুর গ্রামে অভিযান চালায়। বিভিন্ন সময়ে এ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫ জনকে আটকও করা হয়। কিন্তু এর পরপরই জামায়াত-শিবির কর্মীরা মাইকে ডাকাতের প্রচারণা চালিয়ে গ্রামবাসীদের নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়লে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।এতে জামায়াত শিবিরের কর্মীসহ ১০ গ্রামবাসী আহত হন। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। একইসঙ্গে সকাল ৭টা থেকে যশোর-মণিরামপুর সড়কও অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এএসআই হাফিজুর রহমান আরও জানান, মণিরামপুরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েনের প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।