শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে বলে জেলা প্রশাসক নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান। নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- জেলা কারাগারের কারারক্ষী মাসুদুর রহমান (২৫), সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের আবু তাহের মিয়া (৬০) ও চিনাইর গ্রামের ঝানু চৌধুরী (৫২), বিজয়নগরের পত্তন গ্রামের লাভলী বেগম (৩৫) ও ডলি রাণী দে (২৭) এবং আখাউড়ার জারুইতলা গ্রামের জয়নাল মিয়া (৩২) ও সুমি বেগম (১০)।
নিহত বাকি দুই জনের পরিচয় জানা যায়নি। কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের সময় টর্নেডোর আঘাতে মাসুদুর নিহত হন বলে জেলা প্রশাসক জানান। টর্নেডোর আঘাতে জয়নাল ও সুমির মৃত্যুর খবর জানান আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন। সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান সেলিম জানান, টের্নেডোতে ঘরচাপায় আবু তাহের মিয়া মারা গেছেন। আর চিনাইর গ্রামের ঝানু চৌধুরীর মৃত্যুর খবর জানান তার ভাগিনা অতুল মিয়া। অতুল বলেন, ঝড়ের মধ্যে তার মামা রাস্তায় ছিলেন। এ সময় গাছ ভেঙে পড়লে তার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবু সাঈদ জানান, লাভলী ও ডলিসহ চারজনকে হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে যে দুজনের পরিচয় জানা যায়নি তাদের একজন যুবক ও অন্যজন মাঝবয়সী (আনুমানিক ৪৫)। সদর হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, টর্নেডোর আঘাতে আহত তিনশ’ মানুষ হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে প্রায় একশ’ জনকে ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক নূর মোহাম্মদ জানান, টর্নেডোতে সদর উপজেলার উড়শিউড়া গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলা কারাগারও।প্রধানমন্ত্রীর শোক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্নেডোর আঘাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, আক্রান্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ ও আহতদের সুচিকিৎসা করতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।