মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক যুগের পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ওই ভবনটিতে ক্লাস চলাকালীন সময়ে সিলগালা করা হয়। পৌর মেয়র এম শাহাজাহানের আদেশক্রমে মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার সমর মজুমদার, হিসাব রক্ষক নুরুল আরিফ, থানার পিএসআই মোঃ খায়রুল গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিকে সিলগালা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ১৯৬২ সালে মিরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর নির্মাণ করা হয় পশ্চিম পাশে একাডেমিক ভবন। প্রায় ২০ বছর পূর্ব থেকে ভবনটির পলেস্তার খসে পড়তে শুরু করে। দেয়ালে দেখা যায় বড় ধরনের ফাটল। ক্লাস করার সময় প্রায়ই পলেস্তারা খসে শরীরে পড়ে। বেঞ্চ-টেবিলে ময়লার জন্য বসা যায় না। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বিগত সময়ে পরিত্যক্ত ওই দ্বিতল ভবনের ছাদ ধসে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। কক্ষ সংকটে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ওই ভবনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে আসছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন। শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ক্লাস চালিয়েছে আতঙ্ক নিয়ে। নিচতলার দুটি কক্ষে চলে পার্শ্ববর্তী মিরসরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম। এছাড়াও পরিত্যক্ত ভবনের সামনে আরেকটি ভবন নির্মাণ করলেও পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনটিতে ক্লাস অব্যাহত রেখেছিল। প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন জানান, ১৯৬৭ সালে ১১ কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনটি নির্মিত হয়েছিল। পৌরসভার নির্দেশক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এতে কক্ষ সংকটে শ্রেণী কাযক্রম চালাতে চরম অসুবিধা হবে।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হোসাইন সবুজ ও দিদারুল আলম জানান, পার্শ¦বর্তী ৪৪ শতক জমিতে সরকারিভাবে ঘোষণাকৃত মডেল উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলে তা সয়েল টেষ্ট পর্যায়ে থমকে আছে।
মিরসরাই পৌরসভার হিসাব রক্ষক নুরুল আরিফ বলেন, পরিত্যক্ত পাইলট স্কুলের ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সিলগালার বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আশরাফ হোসেন, মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান বরাবর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।