মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : উপজেলার জয়পুর পূর্বজোয়ার গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মালতি রায়ের একমাত্র ফসলি জমি ভেঙে আছড়ে পড়ছে ফেনী নদীতে। ৪৮ শতক এই জমিতে গোল আলু আর মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন তিনি।
মালতি রায় বললেন, ‘জালিয়াঘাটের বালু ইজারাদার সিন্ডিকেট আমার পাশের জমিগুলো কিনে বালু-মাটি কেটে গভীর গর্ত বানিয়ে দিচ্ছে। ফলে আমার জমিটিও ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’ফেনী নদীর মিরসরাই এলাকার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এভাবে ফসলি জেমে কেটে বালু উত্তোলন চলছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি বালুমহাল। সরকারের ভূমি অধিদপ্তর থেকে ইজারা নিয়ে এসব মহালে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন ইজারাদাররা। জয়পুর পূর্বজোয়ার গ্রামের জালিয়াঘাট বালুমহাল ইজারা নিয়েছে জুলফিকুল সিদ্দিকীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ।
অভিযোগ ওঠেছে, ইজারা প্রতিষ্ঠানটি বালু উত্তোলনে মানছে না সরকারের নীতিমালা। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও নদীর পাড়ের ফসলি জমি কেটে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু ও মাটি।
সরেজমিন জয়পুর পূর্বজোয়ার গ্রামের ফেনী নদী উপকূলের জালিয়াঘাট বালুমহাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ের ফসলি জমি কেটে বালু মিশ্রিত মাটি ফেলা হচ্ছে নদীতে। এর পর বিশেষ কায়দায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসল ভরা জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। জমির মালিকরা প্রতিবাদ করলে তাদের নামমাত্র কিছু টাকা দিয়ে চুপ থাকতে হুমকি দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীর আশঙ্কা, ‘এভাবে নদীর পাড় কাটা চলতে থাকলে আশপাশের জমি ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাবে। বর্ষাকালে তীব্র ভাঙনে গ্রামের দুই শতাধিক একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’
বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বলেন, ‘প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হয়নি। পাশের জমি কেটে ফেলায় আমার জমিও নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। তাই কিছু টাকা নিয়ে তাদের কাছে বালু বিক্রি করে দিয়েছি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জালিয়াঘাটের ইজারা প্রতিষ্ঠান সিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জুলফিকুল সিদ্দিকী বলেন, ‘ ইজারার লাইসেন্স আমার নামে হলেও জালিয়াঘাটের বালু উত্তোলন ও বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় দুজন আওয়ামী লীগ নেতা। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ তবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নদীর পাড়ের জমি কেটে বালু উত্তোলন বালুমহাল ইজারা নীতিমালায় নেই। তবে ব্যক্তিমালিকাধীন জমি যদি কেউ বিক্রি করে দেন, সেক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে।’
মালতি রায় বললেন, ‘জালিয়াঘাটের বালু ইজারাদার সিন্ডিকেট আমার পাশের জমিগুলো কিনে বালু-মাটি কেটে গভীর গর্ত বানিয়ে দিচ্ছে। ফলে আমার জমিটিও ভেঙে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।’ফেনী নদীর মিরসরাই এলাকার কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এভাবে ফসলি জেমে কেটে বালু উত্তোলন চলছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি বালুমহাল। সরকারের ভূমি অধিদপ্তর থেকে ইজারা নিয়ে এসব মহালে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন ইজারাদাররা। জয়পুর পূর্বজোয়ার গ্রামের জালিয়াঘাট বালুমহাল ইজারা নিয়েছে জুলফিকুল সিদ্দিকীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ।
অভিযোগ ওঠেছে, ইজারা প্রতিষ্ঠানটি বালু উত্তোলনে মানছে না সরকারের নীতিমালা। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও নদীর পাড়ের ফসলি জমি কেটে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু ও মাটি।
সরেজমিন জয়পুর পূর্বজোয়ার গ্রামের ফেনী নদী উপকূলের জালিয়াঘাট বালুমহাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ের ফসলি জমি কেটে বালু মিশ্রিত মাটি ফেলা হচ্ছে নদীতে। এর পর বিশেষ কায়দায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসল ভরা জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। জমির মালিকরা প্রতিবাদ করলে তাদের নামমাত্র কিছু টাকা দিয়ে চুপ থাকতে হুমকি দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীর আশঙ্কা, ‘এভাবে নদীর পাড় কাটা চলতে থাকলে আশপাশের জমি ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাবে। বর্ষাকালে তীব্র ভাঙনে গ্রামের দুই শতাধিক একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’
বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বলেন, ‘প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হয়নি। পাশের জমি কেটে ফেলায় আমার জমিও নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। তাই কিছু টাকা নিয়ে তাদের কাছে বালু বিক্রি করে দিয়েছি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জালিয়াঘাটের ইজারা প্রতিষ্ঠান সিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জুলফিকুল সিদ্দিকী বলেন, ‘ ইজারার লাইসেন্স আমার নামে হলেও জালিয়াঘাটের বালু উত্তোলন ও বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় দুজন আওয়ামী লীগ নেতা। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ তবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নদীর পাড়ের জমি কেটে বালু উত্তোলন বালুমহাল ইজারা নীতিমালায় নেই। তবে ব্যক্তিমালিকাধীন জমি যদি কেউ বিক্রি করে দেন, সেক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে।’