Saturday, 11 May 2013

সাখাওয়াত ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়

মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ পড়ালেখার ইচ্ছা ও প্রবল অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছে মিরসরাইয়ের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন। সে উপজেলার হিংগুলি কদমতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সোনাপাহাড়ে সাখাওয়াত হোসেন জন্মগ্রহন করে। তার পিতা আনোয়ারুল আজিম রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহন করলেও ছেলেবেলায় সময়মত পোলিও টিকার অভাবে ধীরে ধীরে সে শারীরিক প্রতিবন্দ্বীত্বকে বরণ করে নিয়েছে। শিশুকাল থেকে পড়ালেখার প্রতি সাখাওয়াতের খুবই মনোযোগী। অদম্য ইচ্ছাশক্তি তার প্রতিবন্দ্বীত্বকে দমিয়ে রেখে পৌঁছে দিয়েছে উন্নতির শিখরে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে তার পড়ালেখার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হতো না। কিন্তু সবার অমতেও একনিষ্ঠভাবে পড়াশুনা চালিয়ে আসছি।
মাদ্রাসার সহপাঠীর অনুপ্রেরণা তার পড়ালেখার সাহস ঝুগিয়েছে। সাখাওয়াত জানায়, এ ফলাফলে সে সন্তুষ্ঠ নয়। সে পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।
     উল্লেখ্য,এবার মিরসরাইয়ে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ২শত ৪৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসের হার শতভাগ। গত বছরের চেয়ে একটু এগিয়ে এবার চট্টগ্রাম বোর্ডের ১৩ তম স্থানে রয়েছে উপজেলার জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ (জে.বি.) উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুল থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১ জন। স্কুলের ১০৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে জে.বি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে থেকে ১৫ বার সেরা স্কুলের সুনাম কুড়িয়ে ১৩ বার শতভাগ পাশের গৌরব আর্জন করে মফস্বলের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাসের হার শতকরা ৯২ ভাগ ও মাদ্রাসায় পাসের হার শতকরা ৯৫ ভাগ।