কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) থেকে-এএইচএম মান্নান মুন্না : জলদস্যুদের সাথে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের পর কোম্পানীগঞ্জের দুর্ধর্ষ জলদস্যু প্রধান নেয়ামতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় অন্তত ১০ জলদস্যু আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুছাপুর রেগুলেটর এলাকায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুছাপুর রেগুলেটর এলাকার একটি দোকানে কোম্পানীগঞ্জের দুর্ধর্ষ জলদস্যু স¤্রাট নেয়ামত উল্যাহ অবস্থান করছে এ সংবাদ পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই সুধীর রঞ্জন বড়–য়া, এস আই রবিউল হোসেন ও এ এস আই বিল্লাল হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যু নেয়ামত ও তার সঙ্গীরা পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। নেয়ামত বাহিনীর গুলিবর্ষণের জবাবে পুলিশও ২০ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় নেয়ামত বাহিনীর অন্তত ১০জন আহত হতে দেখা গেছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বর্ষণের পর আহত সদস্যদেরকে ট্রলারে করে নেয়ামত বাহিনী অপর সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে নেয়ামত রেগুলেটর সংলগ্ন খালের পানিতে অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঝাপ দেয়। পুলিশ সদস্যরাও পানিতে ঝাপ দিয়ে অনেক ধস্তাধস্তির পর নেয়ামতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের পরপরই নেয়ামতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে, কোম্পানীগঞ্জের বামনী ও ছোট ফেনী নদীতে ট্রলার লুট, জেলে অপহরণ ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ডাকাতি, চরাঞ্চলে খামারের গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল লুট, মানুষ খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানায় চলমান ৬টি মামলাসহ সন্দীপ, সোনাগাজী, হাতিয়া ও ফেনী থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য জলদস্যু নেয়ামত এর আগেও ৩/৪বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম সাজেদুর রহমান জানান, নেয়ামত কোম্পানীগঞ্জের উপকূলীয় এলাকা ও নদীতে নিয়মিত দস্যুতা কার্যক্রম পরিচালনা করত। তার বিশাল একটি সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। সে কোম্পানীগঞ্জ তথা সোনাগাজী ও সন্দীপ এলাকার মানুষের কাছে মুর্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিত ছিল। আমরা অনেক চেষ্টার পর তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
নেয়ামত ডাকাত গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।