এ এইচ এম মান্নান মুন্না-কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্ববৃহত সমবায় প্রতিষ্ঠান কোম্পানীগঞ্জ শিল্প বনিক সমবায় সমিতির সভাপতি এন.এম আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসারেরকে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তুলোধূণা করেছে সাধারন সদস্যরা। এ ঘটনা ঘটে রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় বসুরহাট পৌরমিলনায়তনে। সমিতির সদস্যরা জানায়, সভাপতি ও সম্পাদক গত ৩ বছর যাবৎ সমিতির ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা অন্যায়ভাবে তাদের কাছে রেখে ব্যক্তিগত ব্যবসায় খাটিয়েছেন। এ টাকা যদি সমিতির ঋণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হত তাহলে প্রতি লক্ষ টাকায় প্রতিমাসে ২ হাজার ৫শ টাকা করে আয় হত।
এ হিসাবে ১ কোটি টাকায় প্রতিমাসে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩ কোটি টাকায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হত। ১ বছরে এ টাকা দাঁড়াত ৯০লক্ষ টাকায়। ৩ বছরে এ টাকার পরিমান হত ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। বিপুল অঙ্কের এ লভ্যাংশের টাকা থেকে সমিতির সাধারণ সদস্যরা বঞ্চিত হলেও বিশাল অঙ্কের এ টাকার ভাগিদার হয়েছেন শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সদস্যদের গচ্ছিত টাকায় সভাপতি ও সম্পাদক এককভাবে লাভবান হবে এটি কোন সদস্যই মেনে নিতে পারছেনা। এই নিরিখে বরিবার সমিতির জরুরি এক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন বনিক সমিতির সদস্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সমিতির সদস্য আবদুল হাই সেলিম, সদস্য হুমায়ুন কবির পলাশ, ইঞ্জিয়ার আবুল কালাম, মমিনুল হক, সাইফ উদ্দিন সবুজ, রফিক উল্যাহ, শিপন কমিশনার সহ অন্যন্য সদস্যবৃন্দ। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার বক্তব্যে বলেন সমিতির অর্থ কেলেঙ্কারিতে সভাপতি-সম্পাদক কোন অবস্থাতে দায় এড়াতে পারে না। সদস্যদের শ্রম ও গামের উপর্জিত টাকা উদ্ধার করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এ টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে কোম্পানীগঞ্জে অন্যান্য সমিতির উপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। প্রয়োজনে এ টাকা উদ্ধারে অভিযুক্তদেরকে আদালতের কাঠগড়ায় মুখোমুখি করা হবে। অপরদিকে সাধারণ সদস্যদের দাবী সভাপতি সম্পাদক এ মুহুর্তে স্বীয়পদ থেকে পদত্যাগ করে একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি করে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের আত্মসাৎকরা টাকার সঠিক হিসাব নির্ণয় করে তা পরিশোধ করতে হবে। পরবর্তীতে সমিতির সাধারণ সভা ডেকে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এ দুই দূর্নিতীবাজ নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জরুরি সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপরাপর সদস্যরা হলেন, আবদুল হাই সেলিম, সমবায় কর্মকর্তা, সাইফ উদ্দিন সবুজ, জাফর উল্যাহ সবুজ, শমশের হোসেন হেলাল, মমিনুল হক, করিমুল হক সাথি, ইঞ্জিয়ার আবুল কালাম, আইয়ুব খান, মমিনুল হক দুলাল।